পবিত্র হজ পালন করতে পায়ে হেঁটে সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার ৪৮ বছর বয়সী মোহাম্মদ জামিল। তিনি টেকনাফ আইডিয়াল পাবলিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক। টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালীয়া পাড়ায় তাঁর বাড়ি।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে সাতটায় টেকনাফ পৌরসভার জিরো পয়েন্ট থেকে থেকে হেঁটে রওনা দেন বলে জানিয়েছেন টেকনাফ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এহতেশামুল হক। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে বেনাপোল হয়ে ভারতের উদ্দেশে রওনা হবেন তিনি।
কাউন্সিলর এহতেশামুল হক বলেন, জামিলের হজযাত্রার জন্য পৌরসভা থেকে তাঁর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর সকালে টেকনাফ জিরো পয়েন্ট অলিয়াবাদ জামে মসজিদে ফজরের নামাজ আদায়ের পর মা–বাবার কবর জিয়ারত শেষে জামিল রওনা হয়েছেন।
হেঁটে হজে যাওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জামিল বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল হেঁটে সৌদি আরব যাব। এ জন্য কয়েক বছর ধরে দৈনিক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ১৫-২০ কিলোমিটার হাঁটাহাঁটি করেছি।’
কোন পথে কীভাবে সৌদি আরব যাবেন—জানতে চাইলে জামিল বলেন, ‘দিনে কমপক্ষে ৩৫-৪০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়ার ইচ্ছা আছে। আমি পারব, এটুকু মনোবল রয়েছে। প্রথমে ঢাকা থেকে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাব। ভারত থেকে পাকিস্তান, ইরান, ইরাক, কুয়েত হয়ে সৌদি আরবে প্রবেশ করব ইনশা আল্লাহ। পুরো পথ পাড়ি দিতে আমাকে প্রায় আট হাজার কিলোমিটার হাঁটতে হবে। আমি এটুকু পথ পাড়ি দিয়ে পবিত্র মক্কা নগরীতে প্রবেশ করব।’
মোহাম্মদ জামিল আরও বলেন, মক্কায় যাওয়া পর্যন্ত পুরো খরচ তিনি নিজে চালাচ্ছেন। ইতিমধ্যে ভারতীয় ভিসা পেয়েছেন। ভারতে যাওয়ার পর পাকিস্তানে যাওয়ার ভিসা নেবেন। এভাবে পর্যায়ক্রমে সৌদি আরবে যাবেন। ভিসা পেতে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সে জন্য প্রশাসন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চান মোহাম্মদ জামিল। তিনি জানান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ক্লিয়ারেন্সের জন্য তিনি আবেদন করবেন। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রগুলোর দূতাবাস থেকেও ক্লিয়ারেন্স নেওয়ার আবেদন করবেন।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী বলেন, উদ্যোগটি দুঃসাহসিক। তিনি মোহাম্মদ জামিলের সফলতা কামনা করেন।
পাঠকের মতামত